চাষের জমিতে দুষ্কৃতী হামলা : ফসল নষ্টে মাথায় হাত ভাগচাষীর

21st August 2021 1:28 pm বাঁকুড়া
চাষের জমিতে দুষ্কৃতী হামলা : ফসল নষ্টে মাথায় হাত ভাগচাষীর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  রাতের অন্ধকারে ফসলের ক্ষেতে দুষ্কৃতী হানা । লণ্ডভণ্ড লক্ষাধিক টাকার ফসল । ঋণের বোঝার মাঝে এই বিপুল ক্ষতিতে মাথায় হাত বাঁকুড়ার প্রান্তিক এক ভাগচাষীর । ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার অন্তর্গত ঘোড়াডাঙ্গা গ্রামে । সূত্রের খবর, এই গ্রামের অসীম বিশ্বাস নামে এক প্রান্তিক ভাগচাষী মহাজনের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ধার নিয়ে কয়েক বিঘা জমিতে করেছিলেন কপির চাষ । সার ও পরিচর্যার সুবাদে কপির ফলন বেশ ভালো হলেও গতকাল রাতে কে বা কারা তার এই জমিতে হানা দেয় এবং লণ্ডভণ্ড করে দেয় জমির সমস্ত কপি । এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে একদিকে যেমন ঋণের বোঝা, অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতি, এই দুইয়ের মাঝে সর্বহারা অবস্থায় দাঁড়িয়ে এই প্রান্তিক ভাগচাষী । কিভাবে শোধ করবেন মহাজনের ঋণ, এ নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি । যদিও এই বিষয়ে পাত্রসায়ের থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতেও এই বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে । তবে কি কারণে এই আকস্মিক হামলা, কে বা কারা করল এই হামলা, সে বিষয়টি এখনও নিজেই বুঝতে পারছেন না এই ভাগচাষী । তবে কয়েক লক্ষ টাকার এই ক্ষতি যেন শরতের শুরুতেই তার কাছে এক বজ্রপাতের মতো হানা দিয়েছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।